লালমনিরহাট প্রতিনিধি।। ঘুর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে গত দুই তিনদিনের ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে তিস্তাসহ লালমনিরহাটের ধরলা, স্বতীনদীসহ বেশ কয়েকটি নদী তার প্রান ফিরে পেতে শুরু করেছে। তাতেই এই মৌসুমে তিস্তা নূী পানি ভয়াবহ রূপধারণ করছে।
ফলে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে কিছু কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে পানির নিচে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ফসলী জমি। শনিবার (২৯ মে) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জানা গেছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে গত দুই তিনদিনের ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়েই চলেছে। নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এতে কৃষকের ভুট্টা, রশুন, কুমড়া, মরিচ ও বাদাম ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, রাত থেকে প্রচুর পরিমাণে ভারতের পানি প্রবেশ করছে। শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টি পড়েছে। এতে তিস্তা নদী পানি দিয়ে ভরপুর। যেভাবে পানি বাড়তে শুরু করেছে তাতে করে এবার বর্ষার আগেই বন্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমরা ভিষন ভয়ে আছি। তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। ব্যারেজের সবগুলো জল কপাট খুলে দেয়া হয়েছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে পানি কমতে শুরু করে।